রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন
বিনোদন ডেস্কঃ আত্মহত্যা নয়, সুশান্ত সিং রাজপুতকে খুন করেছে দাউদ ইব্রাহিমের গ্যাং! এমনই মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এন কে সুদ। তার দাবি, খুব ঠান্ডা মাথায় ছক কষে খুন করা হয়েছে অভিনেতাকে। কোনো পেশাদার খুনি ছাড়া একাজ অসম্ভব!
ইন্ডিয়ান সিকিউরিটি রিসার্চ গ্রুপ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, সুশান্তের অপমৃত্যু আত্মহত্যা নয়, হত্যা; যার সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের যোগসূত্র রয়েছে। ওই ভিডিওবার্তা থেকে খবরটি প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান টাইমস, এবিপি লাইভসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যম।
সুদের দাবি, ঘটনাটি নিখুঁতভাবে ছক কষে ঘটানো হয়েছে। ডন দাউদ ইব্রাহিম এখন মুম্বাইয়ে না থাকলেও এখনও তার প্রভাব আছে বলিউডে। পেশীবল, অর্থ ও উচ্চপদে আসীনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে দাউদ এখনও মুম্বাইয়ের অপরাধজগৎকে নিয়ন্ত্রণ করেন।
সাবেক এই গোয়েন্দা কর্মকর্তার মনে করেন, দাউদের কোনো প্রতিনিধির হাতে সুশান্তের খুন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনিতে গত কয়েক মাসে সুশান্তকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। এ জন্য তিনি প্রায় ৫০ বার সিমকার্ড বদলেছিলেন। কেউ তাকে খুন করে ফেলতে পারে, এ আশঙ্কায় অভিনেতা গাড়িতে ঘুমাতেন।
তিনি আরও বলেন, পেশাদারেরা সুশান্তকে খুন করেছে। তার যুক্তি, অভিনেতার মৃত্যুর আগের দিন সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে দেয়া থেকে শুরু করে, ডুপ্লিকেট চাবি হারিয়ে যাওয়ার মতো অনেক তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তা দেখিয়ে দেয়, কেউ অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় সুশান্তের খুনের ছক কষেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া সুশান্ত পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট। তাঁর বড় চার বোন আছেন। ২০১৩ সালে ‘কাই পো চে’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে সুশান্তের। একই বছরে মুক্তি পায় ‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’। ২০১৬ সালে ‘ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ মুক্তির পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি সুশান্তকে। শুধু ক্যারিয়ার আর লাইফ নয়, ব্যক্তিগতভাবেও সুশান্ত ছিলেন অনেক মেধাবী।
গত ১৪ জুন বান্দ্রার কার্টার রোডের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা কথা বলা হলেও সুশান্তের পরিবারের অভিযোগ, তাদের সন্তানকে সুপরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।