রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন

নোটিশ :
পথ নিউজে স্বাগত। আপনার প্রতিষ্ঠানের সংবাদ অথবা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। ফোন: 01775816181

চীনের ৫০ প্রকল্প আটকে দিচ্ছে ভারত!

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে লাদাখ সীমান্তে চীন-ভারত উত্তেজনা চলছে। এর প্রভাব পড়েছে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কেও। এই সংঘাতের জেরে চীনের ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধের পর এবার চীনা কোম্পানির প্রস্তাবিত ৫০টি প্রকল্প পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

গত এপ্রিলে ভারত নতুন বিনিয়োগ মূল্যায়ন নীতি ঘোষণা করে। এর আওতায় প্রতিবেশি কোনও দেশ থেকে ভারতে বিনিয়োগ করতে হলে দেশটির সরকারের অনুমোদন নিতে হবে; তা সে নতুন বিনিয়োগ হোক কিংবা পুরনো বিনিয়োগে অতিরিক্ত তহবিল যোগ করা হোক। ভারতে এই ধরনের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী চীন। চীনা বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি ভারতের নতুন এই নীতিকে বৈষম্যমূলক আখ্যায়িত করেছে বেইজিং।

ভারত সরকারের দাবি করোনাভাইরাসের মহামারির সময়ে সুবিধাবাদী দখল ঠেকাতে নতুন বিনিয়োগ নীতি ঘোষণা করা হয়। তবে শিল্পখাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, গত মাসে চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের জেরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় অনুমোদন প্র্রক্রিয়া আরও বিলম্বিত হতে পারে। ভারতের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘বিভিন্ন ছাড়পত্র দরকার পড়বে। কারো কল্পনা থেকেও বেশি সতর্ক হয়েছি আমরা।’

নতুন ওই নীতির খসড়া তৈরি করে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শিল্প বিভাগ। রয়টার্সের তিনটি সূত্র জানিয়েছে, নীতি পরিবর্তনের পর থেকে চীনা কোম্পানির ৪০ থেকে ৫০টি আবেদন জমা পড়েছে। বর্তমানে সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে এনিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, চীনের ভারতীয় দূতাবাসসহ ভারত সরকারের একাধিক সংস্থা বিনিয়োগকারী ও তাদের প্রতিনিধিদের কাছে বিনিয়োগ প্রস্তাবের স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাইছে।

এ প্রসঙ্গে দিল্লির এক জ্যেষ্ঠ ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তা বলেন, এখন থেকে বিভিন্ন ছাড়পত্রের প্রয়োজন হবে। অন্যরা যেভাবে ভাবে আমরা এখন তার থেকেও আরও কিছুটা বেশি সতর্ক হব।

মূলত জুনের ১৫ তারিখ সীমান্তে চীন-ভারত সংঘর্ষের পর ভারতজুড়ে চীনা পণ্য বর্জনের যে ডাক উঠে মোদি সরকার তার প্রেক্ষিতেই এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে সংঘাতে অন্তত ২০ সেনা নিহতের পর ভারতে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়। পরে নরেন্দ্র মোদির সরকার ‘সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা, রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা ও জনশৃঙ্খলার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর’ আখ্যা দিয়ে টিকটকসহ চীনের নির্মাণ করা ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত। আর তারপরেই চীনা বিনিয়োগ আটকে দেওয়ার খবর সামনে এলো।

সংবাদটি শেয়ার করুন:


আর্কাইভ

FriSatSunMonTueWedThu
    123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930 
       
     12
24252627282930
31      
   1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  
       

 

© All rights reserved © 2025 Pathnews.net 
Design & Developed BY Hostitbd.Com